বিশ্ব মুসলিমের আবেগ ও ভালোবাসার অন্যতম ভরকেন্দ্র ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাস। আরব বিশ্বের বিষফোঁড়া হয়ে ইসরাইল গড়ে উঠেছে এবং নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বায়তুল মোকাদ্দাস। অসহায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরাইলি ইহুদিদের সংঘর্ষ ও অসম যুদ্ধের খবর মিডিয়ার নিত্য সংবাদ আইটেম। আল্লাহর নবীর হাতে তৈরি অতি প্রাচীন ঐতিহাসিক এ মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব শায়খ আবু ওমর ইয়াকুব আব্বাসী একপক্ষকালের সফরে আগমন করেছেন বাংলাদেশে। সম্প্রতি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিলেট যাওয়ার আগে ঢাকার একটি মাদরাসায় তার সঙ্গে কথা বলেছেন- আলী হাসান তৈয়ব
বায়তুল মোকাদ্দাসের সঙ্গে শুধু ফিলিস্তিন নয়, সারা পৃথিবীর মুসলমানের ভাগ্য জড়িত। এ মসজিদ আমাদের হাতছাড়া হয়েছিল নিজেদের অধঃপতনের কারণে।
বীর মুজাহিদ সালাহুদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) এর নেতৃত্বে তা উদ্ধার হয়েছিল। আবার এ গৌরব আমাদের হাতছাড়া হয়েছে নিজেদের ঐক্য ও দ্বীনদারির অভাবে
প্রশ্ন : আপনি বাংলাদেশে এসেছেন কয়েকদিন হয়ে গেল, তো কেমন দেখছেন দেশটাকে?
উত্তর : এখানে এসে আমার মনে হচ্ছে না বিদেশে এসেছি। সবাইকে খুব আপন ও বন্ধুভাবাপন্ন মনে হচ্ছে। সবাই অতিথিপরায়ণ। ক্ষেত-ফসলের জন্য যেমন দ্বীনের জন্যও তেমন উর্বর এই ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশ। সবুজ-শ্যামল দেশটির মতো এর মানুষগুলোর অন্তরও সজীব ও প্রাণবন্ত। যেখানেই যাচ্ছি মসজিদ-মাদরাসা ও আলেম-ওলামার সংখ্যা আমাকে আপ্লুুত করছে। আশা করি ইসলামের চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে এদেশ আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
প্রশ্ন : সারা পৃথিবীর মুসলিমদের কাছে বায়তুল মোকাদ্দাসের ধর্মীয় গুরুত্ব কী?
উত্তর : বায়তুল মোকাদ্দাস পৃথিবীর বৃহত্তম অনুসারীর তিন ধর্মের লোকের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। আর মুসলিমদের কাছে মসজিদে আকসার গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামের ইতিহাসের নানা বাঁকে জড়িয়ে আছে এ মসজিদ। এটি ছিল আমাদের প্রথম কেবলা। বায়তুল মোকাদ্দাসের সঙ্গে শুধু ফিলিস্তিন নয়, সারা পৃথিবীর মুসলমানের ভাগ্য জড়িত। এ মসজিদ আমাদের হাতছাড়া হয়েছিল নিজেদের অধঃপতনের কারণে। বীর মুজাহিদ সালাহুদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) এর নেতৃত্বে তা উদ্ধার হয়েছিল। আবার এ গৌরব আমাদের হাতছাড়া হয়েছে নিজেদের ঐক্য ও দ্বীনদারির অভাবে।
প্রশ্ন : আপনি যে মসজিদের সম্মানিত ও সৌভাগ্যবান ইমাম, কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিতে তার মর্যাদা কী?
উত্তর : মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদে নববির পর ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান বায়তুল মোকাদ্দাস বা মসজিদ আল আকসা। মক্কা-মদিনার মসজিদের পর এ মসজিদে নামাজের নেকি সবচেয়ে বেশি। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববি) এক নামাজ এক হাজার নামাজের সমান এবং বায়তুল মোকাদ্দাসে এক নামাজ পাচশ’ নামাজের সমান।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) এর মেরাজের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। এ মসজিদেই রাসুলুল্লাহ (সা.) সব নবী-রাসুলের নামাজে ইমামতি করেছিলেন। নামাজ শেষে রাসুলুল্লাহ (সা.) মেরাজের নৈশভ্রমণে (ঊর্ধ্বলোকে) যাত্রা শুরু করেছিলেন।
উল্লেখিত ভ্রমণে বায়তুল মোকাদ্দাসকে মাধ্যম হিসেবে মর্যাদা প্রদান করে এর পবিত্রতা ও সম্মান নিশ্চিত করেছেন মহান সৃষ্টিকর্তা। পবিত্র কোরআনে এ ভূখ-ের পবিত্রতা ও বিশেষ মর্যাদা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র ও মহিমান্বিত তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে এক রজনীতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় পবিভ্রমণ করিয়েছিলেন, যার চতুষ্পার্শ্ব আমি বরকতময় করেছিলাম তাঁকে আমার নিদর্শন পরিদর্শন করার জন্য, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সূরা বনি ইসরাইল : ১)।
সওয়াবের নিয়তে পৃথিবীতে শুধু তিনটি স্থান পরিদর্শনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ মসজিদ তার তৃতীয়টি। বোখারি ও মুসলিমের হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোথায়ও (সওয়াবের আশায়) সফর করা জায়েজ নেইÑ মসজিদুল হারাম, আমার এ মসজিদ ও মসজিদুল আকসা।’ এ কারণে এখনও অবরুদ্ধ এ মসজিদেই প্রতি রমজানের শুরু থেকে অর্ধ লক্ষাধিক মুসলমান ইতিকাফ করেন। শেষ দশকে তো জায়গা পাওয়াই কঠিন হয়ে যায়।
প্রশ্ন : ইসলামের প্র্রথম কেবলা বায়তুল মোকাদ্দাসকে মুক্ত করতে সারা বিশ্বের মুসলমানের কী করণীয়?
উত্তর : প্র্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য প্রথমত এর মুক্তির জন্য দোয়া করা, দ্বিতীয়ত নিজ নিজ স্থান থেকে এর মুক্তির জন্য চেষ্টা করা এবং তৃতীয়ত প্রত্যেক দেশের সরকারপ্রধানকে জাতিসংঘে এ বিষয়ের প্রতিকারের জন্য চাপ সৃষ্টি করা। আসলে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব প্রতিটি মুসলিম দেশের সরকারের। মুসলিম সরকারগুলো একতাবদ্ধ হয়ে এর মর্যাদা উদ্ধারে এগিয়ে এলে রাজনৈতিকভাবেই এর সমাধান সম্ভব। সুত্র: ওয়েব সাইট লিংক
বায়তুল মোকাদ্দাসের সঙ্গে শুধু ফিলিস্তিন নয়, সারা পৃথিবীর মুসলমানের ভাগ্য জড়িত। এ মসজিদ আমাদের হাতছাড়া হয়েছিল নিজেদের অধঃপতনের কারণে।
বীর মুজাহিদ সালাহুদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) এর নেতৃত্বে তা উদ্ধার হয়েছিল। আবার এ গৌরব আমাদের হাতছাড়া হয়েছে নিজেদের ঐক্য ও দ্বীনদারির অভাবে
প্রশ্ন : আপনি বাংলাদেশে এসেছেন কয়েকদিন হয়ে গেল, তো কেমন দেখছেন দেশটাকে?
উত্তর : এখানে এসে আমার মনে হচ্ছে না বিদেশে এসেছি। সবাইকে খুব আপন ও বন্ধুভাবাপন্ন মনে হচ্ছে। সবাই অতিথিপরায়ণ। ক্ষেত-ফসলের জন্য যেমন দ্বীনের জন্যও তেমন উর্বর এই ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশ। সবুজ-শ্যামল দেশটির মতো এর মানুষগুলোর অন্তরও সজীব ও প্রাণবন্ত। যেখানেই যাচ্ছি মসজিদ-মাদরাসা ও আলেম-ওলামার সংখ্যা আমাকে আপ্লুুত করছে। আশা করি ইসলামের চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে এদেশ আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
প্রশ্ন : সারা পৃথিবীর মুসলিমদের কাছে বায়তুল মোকাদ্দাসের ধর্মীয় গুরুত্ব কী?
উত্তর : বায়তুল মোকাদ্দাস পৃথিবীর বৃহত্তম অনুসারীর তিন ধর্মের লোকের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। আর মুসলিমদের কাছে মসজিদে আকসার গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামের ইতিহাসের নানা বাঁকে জড়িয়ে আছে এ মসজিদ। এটি ছিল আমাদের প্রথম কেবলা। বায়তুল মোকাদ্দাসের সঙ্গে শুধু ফিলিস্তিন নয়, সারা পৃথিবীর মুসলমানের ভাগ্য জড়িত। এ মসজিদ আমাদের হাতছাড়া হয়েছিল নিজেদের অধঃপতনের কারণে। বীর মুজাহিদ সালাহুদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) এর নেতৃত্বে তা উদ্ধার হয়েছিল। আবার এ গৌরব আমাদের হাতছাড়া হয়েছে নিজেদের ঐক্য ও দ্বীনদারির অভাবে।
প্রশ্ন : আপনি যে মসজিদের সম্মানিত ও সৌভাগ্যবান ইমাম, কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিতে তার মর্যাদা কী?
উত্তর : মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদে নববির পর ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান বায়তুল মোকাদ্দাস বা মসজিদ আল আকসা। মক্কা-মদিনার মসজিদের পর এ মসজিদে নামাজের নেকি সবচেয়ে বেশি। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববি) এক নামাজ এক হাজার নামাজের সমান এবং বায়তুল মোকাদ্দাসে এক নামাজ পাচশ’ নামাজের সমান।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) এর মেরাজের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। এ মসজিদেই রাসুলুল্লাহ (সা.) সব নবী-রাসুলের নামাজে ইমামতি করেছিলেন। নামাজ শেষে রাসুলুল্লাহ (সা.) মেরাজের নৈশভ্রমণে (ঊর্ধ্বলোকে) যাত্রা শুরু করেছিলেন।
উল্লেখিত ভ্রমণে বায়তুল মোকাদ্দাসকে মাধ্যম হিসেবে মর্যাদা প্রদান করে এর পবিত্রতা ও সম্মান নিশ্চিত করেছেন মহান সৃষ্টিকর্তা। পবিত্র কোরআনে এ ভূখ-ের পবিত্রতা ও বিশেষ মর্যাদা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র ও মহিমান্বিত তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে এক রজনীতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় পবিভ্রমণ করিয়েছিলেন, যার চতুষ্পার্শ্ব আমি বরকতময় করেছিলাম তাঁকে আমার নিদর্শন পরিদর্শন করার জন্য, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সূরা বনি ইসরাইল : ১)।
সওয়াবের নিয়তে পৃথিবীতে শুধু তিনটি স্থান পরিদর্শনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ মসজিদ তার তৃতীয়টি। বোখারি ও মুসলিমের হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোথায়ও (সওয়াবের আশায়) সফর করা জায়েজ নেইÑ মসজিদুল হারাম, আমার এ মসজিদ ও মসজিদুল আকসা।’ এ কারণে এখনও অবরুদ্ধ এ মসজিদেই প্রতি রমজানের শুরু থেকে অর্ধ লক্ষাধিক মুসলমান ইতিকাফ করেন। শেষ দশকে তো জায়গা পাওয়াই কঠিন হয়ে যায়।
প্রশ্ন : ইসলামের প্র্রথম কেবলা বায়তুল মোকাদ্দাসকে মুক্ত করতে সারা বিশ্বের মুসলমানের কী করণীয়?
উত্তর : প্র্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য প্রথমত এর মুক্তির জন্য দোয়া করা, দ্বিতীয়ত নিজ নিজ স্থান থেকে এর মুক্তির জন্য চেষ্টা করা এবং তৃতীয়ত প্রত্যেক দেশের সরকারপ্রধানকে জাতিসংঘে এ বিষয়ের প্রতিকারের জন্য চাপ সৃষ্টি করা। আসলে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব প্রতিটি মুসলিম দেশের সরকারের। মুসলিম সরকারগুলো একতাবদ্ধ হয়ে এর মর্যাদা উদ্ধারে এগিয়ে এলে রাজনৈতিকভাবেই এর সমাধান সম্ভব। সুত্র: ওয়েব সাইট লিংক