ভ্যালেন্টাইনস ডে বাংলাদেশি সংস্কৃতির অংশ নয় : বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি

৯০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশে ভালবাসা দিবস পালনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা সৈয়দ আবদুল মালেক হালিম ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী।

তারা বলেন, জাতির মননজাত ফসল অধোগতি করা, সুস্থ রুচিবোধ আদর্শচ্যূৎ করা এবং তাৎক্ষণিক আনন্দের স্থুলতাকে পর্যবসিত করার জন্যে এই দিবস পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ইসলামই আমাদের প্রকৃত ও অকৃত্রিম ভালবাসা শিক্ষা দেয়। তাই ভালবাসা ধারণ, চর্চা ও অনুশীলনের জন্যে আমাদেরকে ভালবাসা দিবসের ওপর নির্ভর করার আবশ্যকতা নেই।

নেজামে ইসলাম পার্টি নেতৃদ্বয় রবিবার তথাকথিত ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে এক বিবৃতিতে বলেন, ভালবাসা দিবস বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের অবাধ মেলা-মেশা ও ব্যভিচারের একটি মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া তথাকথিত ভালবাসা দিবস বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সংস্কৃতির অংশ নয়। এ ধরনের অনুষ্ঠান আজ জাতির মেরুদণ্ড যুব সমাজের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারাচ্ছন করে তুলছে। যা রুচিতে পীড়াবোধ হয়। নিঃসন্দেহে ভালবাসা দিবস এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নয়।

তারা আরো বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ূ ও আবহাওয়া তথা পরিবেশ অনুযায়ী বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের তারতম্যের ভিত্তিতে সংস্কৃতি গড়ে উঠে। তাই পশ্চিমাদের নগ্ন সংস্কৃতি আমাদের দেশে বেমানান, বিসদৃশ, যা পীড়া দেয় আমাদের রুচিবোধকে। তাই নতুনত্বের মোহে পশ্চিমাদের হাতছানিতে আমাদের না তাকালেই চলবে। সুস্থ রুচিবোধ আদর্শচ্যূৎ হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। কিন্তু একশ্রেণীর লোক আমাদের সুস্থ রচিবোধকে আদর্শচ্যূৎ করার খেলায় মেতে উঠেছে। তারা জাতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি তথা মানসিকতার পরিপন্থী পাশ্চাত্যের বা ভিন দেশীয় উচ্ছিষ্ট সংস্কৃতিকে আমাদের সামনে তুলে ধরছে।

বিবৃতিতে বলা হয, ভালবাসা দিবসের মতো অপসংস্কৃতি আমাদের যুব সমাজের দেহমনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে কুপ্রভাব বাসা বাঁধছে, তা থেকে কে তাদেরকে মুক্ত করবে? কৈশোর ও যুব সমাজকে এভাবে দুর্বল করে দেয়ার অর্থ জাতির ভবিষ্যৎকে একেবারে ধ্বংসের মূখে ঠেলে দেয়ারই শামিল। এতে জনমানসে অপরাধ প্রবণতা ও বাড়ছে। দেশে নারী ধর্ষণের ঘটনা দিনকে দিন বাড়ছে। চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, খুনসহ বিভিন্ন জঘন্য অপরাধের পিছনে এসব অপসংস্কৃতির অবদান অস্বীকার করা যাবে না
।সুত্র:- লিংক