লালবাগ জামেয়ার সর্বশেষ প্রিন্সিপাল মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ. এর শিক্ষাজীবনঃ

মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ. এর পিতা আলহাজ ওয়ায়েজউদ্দিন তার জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় অতিবাহিত করেছেন আলেম ওলামাদের সান্যিধ্যে। ১৯৫৪ সালে মুফতি আমিনীর বয়স যখন নয় বছর তখন থেকেই তার শিক্ষা জীবনের সূচনা। বাবা ওয়ায়েজউদ্দিন প্রথমে তাকে দেশের প্রসিদ্ধ দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বি. বাড়িয়ার জামিয়া ইউনুসিয়ায় ভর্তি করান। এরপর সেখান থেকে মুন্সিগঞ্জের মুস্তফাগঞ্জ মাদরাসায় হাফেজ মাওলানা মুহসিনউদ্দিন রহ. এর তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন।

মুস্তফাগঞ্জে অধ্যায়নের তিন বছর শেষ হলে বাবা ওয়ায়েজুদ্দিন তাকে নিয়ে চলে আসেন ঢাকার প্রাচীন দ্বীনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বড় কাটারা মাদরাসায়। এবং ছেলেকে সোপর্দ করে দিয়ে যান তার মুর্শিদ পীরজী হুজুর রহ. এর মুবারক হাতে।



সেখানে থেকে কিছুদিনের মধ্যেই মেধাবী আমিনী নজর কাড়েন লালবাগ জামেয়ার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর। এবং সেই সাথে লালবাগ জামেয়ার আরো একটি পরশ পাথরের সন্ধান তিনি তখন পেয়ে গিয়েছিলেন, যার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে মুফতির আমিনী রহ. এর পরবর্তী জীবনের প্রতিটি কাজে-কর্মে, কথা-বার্তায়। তিনি হলেন মুজাহিদে আযম হযরত মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী রহ.।

লালবাগ জামেয়ার যে সকল তালেবে ইলম মুফতি আমিনী রহ. ও তার সহপাঠি মাওলানা আব্দুল হাই দা.বা. (যিনি বর্তমান লালবাগ জামেয়ার শায়খুল হাদিস) এর দরসে বসার সুযোগ পেয়েছেন তারা জানেন শামসুল হক ফরিদপুরী রহ. এর কতটা প্রভাব তার এই দুই শাগরেদের মধ্যে রয়েছে।

১৯৬১ সালে হযরত সদর সাহেবের আত্মিক টানে মুফতি আমিনী রহ. চলে আসেন লালবাগ জামেয়ায়। এবং এখান থেকেই ১৯৬৮ সালে কৃতিত্বের সাথে দাওরায় হাদিস সম্পন্ন করেন। অতঃপর ১৯৬৯ সালে শামসুল হক ফরিদপুরী রহ. তাকে করাচি বিননুরী টাউন মাদরাসায় উচ্চ শিক্ষার জন্য ইউসুফ বিন্নুরী রহ. এর কাছে পাঠিয়ে দেন। সেখানে আল্লামা ইউসুফ বিননুরী রহ. এর একান্ত সান্নিধ্যে থেকে হাদীসশাস্ত্র ও ফিকহশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করে দেশে ফিরে আসেন।

ইউসুফ বিন্নুরী রহ. এর কথা মুফতি আমিনী রহ. ছাত্রদেরকে খুব বলতেন। মুফতি আমিনী রহ. এর ইন্তেকালের পর যে কিতাবগুলো তার টেবলের উপর ছিল তার একটি ছিল "জামালে ইউসুফ"। সুত্রঃ লিংক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন