শয়তানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা হবে

ইসলামী ঐক্যজোটের শীর্ষ নেতরা বলেছেন, দেশ ও মুসলমানদের অন্যতম প্রধান শত্রু নাস্তিক মুরতাদ ও শয়তানের দূতগণ। শয়তানের দূতগণ ঈমানহরণের নাশকতায় জড়িত। তাদের ঘৃণ্য ঈমানবিনাশী নাশকতার কারণে মুসলমানদের ঈমান এখন বিপদের মুখে। আল্লাহদ্রোহী নাস্তিক-মুরতাদগোষ্ঠী অপরাধের পর অপরাধ করে যাচ্ছে সমগ্র মানবজাতির বিরুদ্ধে। তাই মানবতার মুক্তির জন্য তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।

শুক্রবার এক যুক্ত বিবৃতিতে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী,মাওলানা শামশুল আলম, মাওলানা আবদুল হামীদ (পীর সাহেব মধুপুর), মুফতী মুজাফফর আহমদ, মাওলানা আবদুর রশীদ মজুমদার, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিমউদ্দীন, মাওলানা এহতেশাম সরোওয়ার এসব কথা বলেন।

আইওজে নেতৃবৃন্দ বলেন, সময়ের কৃত্রিম নেতারা ক্ষমতার গরমে ভদ্রতা, পরকালের কথা, সত্যতা, সত্যবাদিতা ভুলে গেছে। তাদের রাজনীতিই হচ্ছে ইসলাম ও ইসলামী উম্মাহর প্রতি বিদ্বেষ। তাই তারা ইসলাম ও কওমী মাদরাসার জাগরণ ও অগ্রযাত্রা রোধ করতে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু স্বাধীনতার শত্রু এবং বিদেশী শত্রু শক্তির সেবাদাসদের জানা উচিৎ ১৮৬১-৬৭ পর্যন্ত লাখো লাখো কুরআন শরীফ জ্বালিয়ে দিয়ে, আলেম-উলামাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে, অসংখ্য মাদরাসা মাঠির সাথে মিশিয়ে দিয়ে ইলমে ওহীর শিক্ষা রোধ করতে পারেনি, আর কেয়ামত পর্যন্ত পারবে না।

তারা আরো বলেন, মুসলিম শিশুদের ইসলামের প্রতি অঙ্গীকার নিয়ে বেড়ে উঠতে দেখলে এবং ইলমে ওহীর শিক্ষা অর্জন করতে দেখলে নাস্তিক মুরতাদরা বিক্ষুব্ধ হয়। ইসলাম মেনে চলাকে ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তি মৌলবাদি সন্ত্রাস বলে। মহিলাদের হিজাবের মধ্যেও তারা জিহাদ দেখে। তারা বলেন, মহান আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে কেউ আল্লাহর নেয়ামত ভোগ করতে পারবে না। শয়তানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা হবে ইনশাআল্লাহ।