গাজায় বর্বর ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন সাফল্য দেখিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে হামাস।
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন চতুর্থ সপ্তাহে গড়ালেও হামাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা এতোটুকু কমেনি—প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে ইহুদিবাদী বর্বর সেনারা। ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের রকেট হামলাও অব্যাহত আছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হামাস এমন একটি যোদ্ধা গ্রুপ, যারা নীরবে নিজস্ব অস্ত্রসম্ভার তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে। তারা তৈরি করছে রকেট। সুড়ঙ্গপথ ব্যবস্থা হামলা চালিয়ে ইসরাইলি বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করছে হামাস।
হামাসের শক্তির পেছনে আরেকটি উত্স হচ্ছে স্বপ্রণোদিত হয়ে ইসলামপন্থী এই সংগঠনে যোগ দেয়া বিরাট সংখ্যক যোদ্ধা। বস্তুত যোদ্ধার কোনো অভাব নেই হামাসে।
হামাস রাষ্ট্র-বহির্ভূত একটি সামরিক সংগঠন। ফলে এখানে সংগঠনের হিসেবের বাইরেও অনেক যোদ্ধা রয়েছেন। হামাস নেতারাও ঠিক বলতে পারবেন না তাদের কমান্ডে কত যোদ্ধা রয়েছেন।
হামাসের সামরিক শাখার জনশক্তি অনেকটাই অনুমান ভিত্তিক।
হামাসের সামরিক শাখা ইজ আল-দীন আল-কাসসাম ব্রিগেডের সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে ২০ হাজার হতে পারে বলে অনুমান করা হয়।
২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের গবেষণায় বলা হয়, হামাসের সার্বক্ষণিক যোদ্ধার সংখ্যা ৭ থেকে ১০ হাজার। তবে রিজার্ভ সদস্য সংখ্যা ২০ হাজার।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক খ্যাতনামা সামরিক ম্যাগাজিন জেনস-এর তথ্য মতে, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হামাসের উন্নত প্রশিক্ষিত এবং আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত যোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার।
জেনসের কাছে একজন সিনিয়র ফিলিস্তিনি সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা স্বীকার করেন যে, কাসসাম ব্রিগেডে ১০০০-এর বেশি ম্যানপ্যাড (ম্যান পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) আছে। লিবিয়ার একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের সময় এসব লুট করা হয়। তবে ইসরাইলের প্রতিরোধ ব্যবস্থা কারণে এসব অস্ত্র হয়তো তেমন কাজে দেবে না।
কাসসাম ব্রিগেড স্বীকার করেছে, ইসরাইলের সঙ্গে সর্বশেষ যুদ্ধের পর থেকেই তারা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে যাতে একটি নিয়মিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালানো যায়। এর মধ্যে অন্যতম হলো রকেট লাঞ্চার দিয়ে হামলার প্রস্তুতি।