
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেছেন, ঈমানী আন্দোলনের তথা ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা কর্মীরা হচ্ছেন সেই ঢাল, যারা মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক পথকে রোধ করতে পারে। তাঁরা সেই পাথর যে পাথর বেঈমান, তাগুত, তাদের দালাল ও তাদের অজ্ঞ অনুসারী এবং নাস্তিক-মুরতাদদের চক্রান্ত ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়। আল্লাহ’র ইচ্ছায়, আমাদের নেতা কর্মীরা রাজনীতি সচেতন, যারা ইসলাম ও মুসলমানদের শত্র“ এবং সরকারী এজেন্ডা বাস্তবায়নে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ক্ষুদ্র দালাল চক্রের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে প্রস্তুত।
মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, সর্ববিজয়ী ও মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য পথ প্রদর্শন করেছেন। সে পথেই ঈমানী আন্দোলনের নেতা কর্মীরা নবুওয়াতের আদলে ইসলাম রক্ষা ও প্রতিষ্ঠায় দৃপ্তপদে এগিয়ে চলেছে। দুষ্টুচক্রকে মনে রাখতে হবে, এই পথের পথিকদের বিভ্রান্ত করা যায় না। লোভ-লালসার টোপ দিয়ে তাদেরকে আল্লাহ্র স্মরণ থেকে বিচ্যুত করা যায় না। তারা ইসলামকে তাদের চিন্তা, চেতনায়, শ্রবনে-দৃষ্টিতে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের (আওয়ামীলীগের) সঙ্গে ত্যানার মত জড়িয়ে থাকা নাস্তিক্যবাদী জঙ্গি, শেকড়হীন ইসলাম দ্রোহীদের উৎপাত থামান, নাস্তিক-মুরতাদদের লাগাম টেনে ধরুন। না হয় এদের কৃত অপরাধের দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। দেশবাসীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে অসীম সাহসিকতার সাথে দেশ, ইসলাম রক্ষা ও প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
আজ বিকাল ৩টায় লালবাগস্থ কার্যালয়ে ইসলামী ঐক্যজোট বি-বাড়ীয়া নবীনগর উপজেলার নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা ইসহাক, মাওলানা মাহমুদুল হক, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা শামসুদ্দীন, মাওলানা আনওয়ার, মাওলানা জাকির হোসাইন, মোঃ ভিন্নু মিয়া প্রমুখ
আগামীকাল ইসলামী ঐক্যজোট লালবাগ থানার আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল
আগামীকাল ইসলামী ঐক্যজোট লালবাগ থানার উদ্যোগে ‘বদরের চেতনায় উদ্দীপ্ত ১৭ রমজান’ শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল ৫৭, কাজী রিয়াজ উদ্দীন রোড, লালবাল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন ওলামা মাশায়েখ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করবেন- লালবাগ থানা ইসলামী ঐক্যজোট সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হক।copy from http://insaf24.com/archives/2049