আলহামদুলিল্লাহ্, প্রযুক্তির এ যুগে ইসলামকে প্রচার করা আমাদের পক্ষে খুব সহজ হয়ে উঠেছে । কিন্তু এ সুযোগটিকে অবহেলা কিংবা নষ্ট করে ফেলারও যথেষ্ট রাস্তা রয়েছে । তাই এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরে কিছু সতর্কবার্তা উল্লেখ করা হল:
■ আমীরুল মুমিনীন আবূ হাফস্ উমার ইবনু আল-খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন— আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি— “সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়্যতের উপর, আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়্যত করেছে, তাই পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকে হয়েছে, আর যার হিজরত দুনিয়া (পার্থিব বস্তু) আহরণ করার জন্য অথবা মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তার হিজরত সে জন্য বিবেচিত হবে যে জন্য সে হিজরত করেছে।” -(সহীহ্ আল-বুখারী: ১, সহীহ্ মুসলিম: ১৯০৭)
■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, নবী (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে ।” -(সহীহুল বুখারী: ৬০১৮, ৩৩৩১; মুসলিম: ৪৭, ১৪৬৮)
■ আবু মূসা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! সর্বোত্তম মুসলমান কে?’ তিনি বললেন, “যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমরা নিরাপদ থাকে ।” -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫২০)
■ সাহল ইবনে সা’দ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (জিভ) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী (গুপ্তাঙ্গ) সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব ।” -(সহীহুল বুখারী: ৬৪৭৪, ৬৮০৭; তিরমিযী: ২৪০৮)
■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল (সা:) বলেছেন, “প্রত্যেক মুসলিমের রক্ত, সম্ভ্রম ও ধন-সম্পদ অন্য মুসলিমের জন্য হারাম ।” -(সহীহুল বুখারী: ৫১৪৪, ৬০৬৬; মুসলিম: ২৫৬৩, ২৫৬৪)
■ হুযাইফা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “চুগলখোর জান্নাতে যাবে না ।” -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫৪৪)
■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, নবী (সা:) বলেছেন, “মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা কিছু শোনে (বিনা বিচারে) তা-ই বর্ণনা করে ।” -(মুসলিম, আবু দাউদ, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫৫৫)
■ ইবনে মাসউদ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “মুমিনগণ খোঁটাদানকারী, অভিশাপকারী, নির্লজ্জ ও অশ্লীলভাষী হয় না ।” -(তিরমিযী: ১৯৭৭; আহমাদ: ৩৮২৯)
■ ইবনে মাসঊদ (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছে, “মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী এবং তার সাথে লড়াই করা কুফরী । -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫৬৭)
■ আয়িশা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “তোমরা মৃতদেরকে গালি দিও না । যেহেতু তারা নিজেদের কৃতকর্মের পরিণতি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ।” -(বুখারী: ৬৮৫৮; মুসলিম: ১৬৬০)
উপরোক্ত বিষয়গুলো হতে অন্তত এতটুকু স্পষ্ট যে, আমাদের দ্বীন প্রচারের একমাত্র উদ্দেশ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন । আমরা অপর মুসলিম ভাইয়ের মান-সম্মানে আঘাত করে কিছু বলবো না, কোন কথা যাচাই-বাছাই না করেই প্রচার করে বেড়াবো না, একজনের বিরুদ্ধে অন্যজনের গীবাত করবোনা, নিজেকে অশ্লীলভাষী প্রমাণ করবোনা । আল্লাহ্ আমাদের জন্য সহজ করে দিন । (আমীন) সুত্র:- লিংক
■ আমীরুল মুমিনীন আবূ হাফস্ উমার ইবনু আল-খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন— আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি— “সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়্যতের উপর, আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়্যত করেছে, তাই পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকে হয়েছে, আর যার হিজরত দুনিয়া (পার্থিব বস্তু) আহরণ করার জন্য অথবা মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তার হিজরত সে জন্য বিবেচিত হবে যে জন্য সে হিজরত করেছে।” -(সহীহ্ আল-বুখারী: ১, সহীহ্ মুসলিম: ১৯০৭)
■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, নবী (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে ।” -(সহীহুল বুখারী: ৬০১৮, ৩৩৩১; মুসলিম: ৪৭, ১৪৬৮)
■ আবু মূসা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! সর্বোত্তম মুসলমান কে?’ তিনি বললেন, “যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমরা নিরাপদ থাকে ।” -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫২০)
■ সাহল ইবনে সা’দ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (জিভ) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী (গুপ্তাঙ্গ) সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব ।” -(সহীহুল বুখারী: ৬৪৭৪, ৬৮০৭; তিরমিযী: ২৪০৮)
■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল (সা:) বলেছেন, “প্রত্যেক মুসলিমের রক্ত, সম্ভ্রম ও ধন-সম্পদ অন্য মুসলিমের জন্য হারাম ।” -(সহীহুল বুখারী: ৫১৪৪, ৬০৬৬; মুসলিম: ২৫৬৩, ২৫৬৪)
■ হুযাইফা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “চুগলখোর জান্নাতে যাবে না ।” -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫৪৪)
■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, নবী (সা:) বলেছেন, “মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা কিছু শোনে (বিনা বিচারে) তা-ই বর্ণনা করে ।” -(মুসলিম, আবু দাউদ, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫৫৫)
■ ইবনে মাসউদ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “মুমিনগণ খোঁটাদানকারী, অভিশাপকারী, নির্লজ্জ ও অশ্লীলভাষী হয় না ।” -(তিরমিযী: ১৯৭৭; আহমাদ: ৩৮২৯)
■ ইবনে মাসঊদ (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছে, “মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী এবং তার সাথে লড়াই করা কুফরী । -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫৬৭)
■ আয়িশা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “তোমরা মৃতদেরকে গালি দিও না । যেহেতু তারা নিজেদের কৃতকর্মের পরিণতি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ।” -(বুখারী: ৬৮৫৮; মুসলিম: ১৬৬০)
উপরোক্ত বিষয়গুলো হতে অন্তত এতটুকু স্পষ্ট যে, আমাদের দ্বীন প্রচারের একমাত্র উদ্দেশ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন । আমরা অপর মুসলিম ভাইয়ের মান-সম্মানে আঘাত করে কিছু বলবো না, কোন কথা যাচাই-বাছাই না করেই প্রচার করে বেড়াবো না, একজনের বিরুদ্ধে অন্যজনের গীবাত করবোনা, নিজেকে অশ্লীলভাষী প্রমাণ করবোনা । আল্লাহ্ আমাদের জন্য সহজ করে দিন । (আমীন) সুত্র:- লিংক